ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বাবার বাড়ি থেকে জোর করে ফারহানা আক্তার (১৯) নামের এক নববধূকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে আসা হয়। পরে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উপজেলা বায়েক ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে স্বামীর বিরুদ্ধে ফারহানা আক্তারকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ফারহানা কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি উপজেলার দক্ষিণ বাগিচাগাঁও এলাকার মো. দুলাল মিয়ার মেয়ে।
নিহতের ভাই জানেআলম রাজিব জানান, দুই মাস আগে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে দেলোয়ারের সঙ্গে তিন লাখ টাকা কাবিননামায় ফারহানাকে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে ফারহানাকে তার স্বামী-শাশুড়ি যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন।
গত সোমবার ফারহানাকে আনতে গিয়ে ফার্নিচারের টাকা দাবি করেন নুরু মিয়া। তখন ফারহানা শ্বশুরবাড়িতে যাবে না বললেও তাকে জোরপূর্বক নিয়ে আসে শ্বশুর নুরু মিয়া। মঙ্গলবার ফারহানা আক্তারের শ্বশুর ফোন দিয়ে জানায় ফারহানা অসুস্থ। পরে ফারহানার শ্বশুর আবারো জানায় ফারহানা আত্মহত্যা করেছে এবং কসবা থানার পুলিশ ফারহানার লাশ নিয়ে গেছে।
রাজিব জানান, ফারহানাকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এখন দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।
কসবা থানার ওসি মো. আলমগীর ভূঁইয়া জানান, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফারহানা নামের এক নববধূর লাশ উদ্ধার করি। বুধবার ময়নাতদন্তের পর লাশ আত্মীয়স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।